হৃদয়ে শরীয়তপুর ডেস্কঃ
শরীয়তপুর সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ১০২ নং বকাই নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খালেদা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের স্লিপের টাকা সহ বিভিন্ন খরচের জন্য সরকারি বরাদ্দকৃত টাকা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ম্যানেজিং কমিটি সদস্যরা বারবার হিসেবের জন্য আবেদন জানালেও কাউকে পাত্তা দিচ্ছেন না প্রধান শিক্ষিকা। এই অনিয়ম তুলে ধরে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি জেলা প্রশাসক বরাবর সুস্থ তদন্তের সাপেক্ষে একটি আবেদন করেন।
এ বিষয়ে একাধিক বার ১০২ নং বকাই নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার কাছে গেলেও তিনি বিদ্যালয়ের বরাদ্দকৃত টাকার কোন হিসাব দেখাতে পারেন নাই। সাংবাদিক গেলেই বলেন হিসাব বাড়িতে রেখে আসছি।
১০২নং বকাই নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহ-সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক খান বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জরিত। সে বিগত ৩ থেকে ৪ মাস পূর্বে একজন সহকারী শিক্ষিকাকে ফাসানোর জন্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতির জনকের অফিসের ঝুলন্ত ছবি ভেঙ্গে ফেলে। কমিটি তাকে বার বার বলার পরেও ছবি পুণরায় সেট করেনি। এমনকি চার-পাঁচ বছর যাবৎ সরকারী সিলিপের টাকা কমিটি বরাবর সঠিক ভাবে হিসাব দেয় না এবং কমিটির সহি নকল করে টাকা উত্তোলন করে। স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের সে কোন ক্লাস নেয় না শুধু লাইব্রেরিতে বসে থাকে। এ বছরে সে স্কুলে বার্ষিক ক্রিয়া অনুষ্ঠান করেননি। এছাড়াও তিনি অনেক জাতিয় অনুষ্ঠান করে না। তিনি আরো বিভিন্ন অনিয়মের ও দুর্নীতির সাথে জড়িত। আমি একটা দা ৮শত টাকা দিয়ে বানিয়ে এনে দিয়েছি, সেই দার দাম স্লিপে ২৫শত টাকা লেখছে। অন্য স্কুলে বিদ্যালয়ের গ্রিল ৮৫ হাজার টাকা খরচ করে বানায় আর আমাদের স্কুলে সেই বিদ্যালয়ের গ্রিলের খরচ দেখিয়েছে ১ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা।
এবিষয়ে ১০২ নং বকই নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খালেদা ইয়াসমিন কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।
এবিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ এরশাদ উদ্দিন বলেন, ১০২নং বকাই নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পেয়েছি। সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত কে প্রতিবেদন দেওয়া জন্য বলা হয়েছ।