মোহাম্মদ জামাল মল্লিক,শরীয়তপুরঃ
শরীয়তপুর পৌরসভার চলমান সড়ক উন্নয়ন, ফুটপাত নির্মাণ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার ফলে ক্রমশ বদলে যাচ্ছে পৌর এলাকার দৃশ্যপট। গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় গত কয়েক দিন ধরে জেলা শহর প্রথম পাকা সড়ক পাকামাথা থেকে উত্তর বাজার পর্যন্ত পৌরসভারন ৯টি ওয়ার্ডের জরাজীর্ণ বেহাল সড়কগুলোর ১৮ কিলোমিটার কার্পেটিং রাস্তা ও ২ কিলোমিটার ড্রেনের কাজ করা হয়েছে। ফলে উপজেলা শহরে যোগাযোগব্যবস্থার যুগান্তকারী অধ্যায়ের সূচনা হচ্ছে।
জেলা ও সদর উপজেলার ইউনিয়ন গুলোর জনগণের শহরে চলাচলের নতুন মাত্রা যোগ হচ্ছে। শরীয়তপুর পৌরসভার বর্তমান মেয়র এ্যাডভোকেট পারভেজ রহমান জন ২বছর ধরে মেয়র নির্বাচীত হয়েছেন। এই ২ বছরে তিনি পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ২৮টি সড়ক ও ৩ ড্রেনের কাজ সম্পুর্ন করেছেন। ২০২৩সালে জানুয়ারি মাসে ৩০টি গ্রামীন সড়কের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই প্রশস্ত ফুটপাতে অনায়াসে চলাচল করছে পৌরবাসী। ওই সড়কের পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা নির্মাণের ফলে বর্ষাকালে অপরিসীম ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাচ্ছে কয়েক হাজার পরিবার।
গত বছর পৌর শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সংযোগ সড়কগুলোর উন্নয়নকাজ শেষ হয়। এর ফলে পৌরসভার যোগাযোগব্যবস্থার বৈপ্লবিক উন্নতি হয়েছে বলে মনে করেন পৌরবাসী।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংদের ডেপুটি কমান্ডার আবদুর রাজ্জাক সরদার বলেন, পৌরসভার যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন ঢাকার চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। এর ফলে পৌরবাসী দীর্ঘদিনের অসহ্য ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে।
পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্ধা জামাল মল্লিক বলেন, বর্তমান মেয়রের দায়িত্বভার গ্রহণের আগে বিশেষ করে বর্ষায় বাজার দিয়ে হাঁটা যেত না। রিকশাওয়ালারা ভাঙা রাস্তার কারণে কাগদী যেতে চাইতো না। এ উন্নয়ন নিঃসন্দেহে পৌরবাসীকে অনেক সুফল দেবে।
পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, যথাযথ তদারকির মধ্যে কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে।
শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র এ্যাডভোকেট পারভেজ রহমান জন জানান, পৌরসভার এ উন্নয়নকাজ দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ। দিন দিন জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিভিন্ন চাহিদাও বাড়ছে। সে লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে।
পৌরবাসী বহু আশা নিয়ে আমাকে মেয়র নির্বাচিত করেছেন। তাই আমি পৌরসভার অসম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করার পাশাপাশি যানজট মুক্ত পৌরসভা গঠনের উদ্যোগ নিয়েছি। তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে কাজ করছি। আশা করি আগামীতে শরীয়তপুর পৌরসভাকে দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর মডেল পৌরসভায় পরিণত করতে পারবো।