হৃদয়ে শরীয়তপুর ডেস্কঃ
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে এক শোকবার্তায় প্রয়াতের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন তিনি। একইসঙ্গে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান যুবলীগ চেয়ারম্যান।
শোকবার্তায় যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ¯েœহধন্য ও আস্থাভাজন। তিনি ‘৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন থেকে ‘৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এমনকি ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে সাত জন নারী গণপরিষদ সদস্যের এক জন ছিলেন তিনি। ১৯৬৯-১৯৭৫ সময়কালে তিনি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে কলকাতা গোবরা নার্সিং ক্যা¤েপর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন তিনি। তিনি ছিলেন-মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং মুক্তিযুদ্ধের সম্মুখ যোদ্ধা।
তিনি বলেন, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ছিলেন ১৯৭২-১৯৭৫ সময়কালে বাংলাদেশ নারী পুনর্বাসন বোর্ডের পরিচালক, ১৯৭২-৭৬ সময়কালে বাংলাদেশ গার্ল গাইডের ন্যাশনাল কমিশনার এবং ১৯৭৬ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর হত্যাকান্ডের পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ স¤পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক, ১৯৯২ সাল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে একজন অভিভাবক হিসেবে পেয়েছিলেন। এমনকি আওয়ামী লীগ সভাপতি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর অগ্রণী ভূমিকা ছিল ।আমৃত্যু সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছায়া সঙ্গী হিসেবেই ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ট্রাজেডির পর তিনি শুধু ভুক্তভোগী পরিবারের অভিভাবকই ছিলেন না, তিনি ছিলেন ভুক্তভোগী পরিবারের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
তিনি আরও বলেন, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে এদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিশাল শূন্যতার সৃষ্টি হলো। তার মৃত্যুতে দেশ ও জাতি হারালো একজন দেশপ্রেমিক, অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল চেতনার অধিকারী রাজনীতিককে। সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।