মোহাম্মদ জামাল মল্লিকঃ
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার কর্নেল (অব.) শওকত আলীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। বুধবার ১৬নভেম্বর সকাল ১০টায় গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়ায় স্বাধীনতা ভবনের সামাধীতে বিভিন্ন সংগঠনের পুষ্পার্ঘ অর্পণের মাধ্যমে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এসময় মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে কোরআন খতম, দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এছাড়াও জাতীয় বীরের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পরিবারের পক্ষ থেকে অসহায় পরিবারের মাঝে ১০ টি শেলাই মেশিন বিতরন করা হয়। ১০ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয় এবং তাদের লেখাপড়ার দায়িত্ব নেওয়া হয়। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার ও একজন গৃহহীন পরিবারের মাঝে শওকত নিবাস নামে গৃহ বিতরন করা হয়। এর আগে জাতীয় বীরের মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ১০ ই নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে স্মরন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৪ ই নভেম্বর নড়িয়া উপজেলার জাতীয় বীরের জন্মস্থান লোনসিং বাহের দীঘির পাড় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও ঔষধ বিতরন করা হয়। ১৫ ই নভেম্বর নড়িয়া মাজেদা হাসপাতালে ১৫০ জন দুষ্টিহীনকে বিনা মূল্যে চোখের ছানি অপারেশন করানো হয়।
দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন জাতীয় বীর কর্নেল (অব.) শওকত আলীর সহর্ধমিনী বীর মুক্তিযোদ্ধা মিসেস মাজেদা শওকত আলী, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডাক্তার খালেদ শওকত আলী, নড়িয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম ইসমাইল হক, জেলা পরিষদের সদস্য ১নং ওয়ার্ড বোরহান মুন্সী, ২নং ওয়ার্ডের সদস্য নেছার উদ্দীন মাদবর, ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য আলী আজগর চুন্নু, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, জিপি এ্যাড, আলমগীর মুন্সী, নড়িয়া উন্নয়ন সমিতি নুসার চেয়ারম্যান এ্যাড, ফিরুজ , সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মোল্লা, এবং সর্বস্থরের মানুষ। এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ, কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত শওকত আলী ফাউন্ডেশন, কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত শওকত আলী স্মৃতি পরিষদ ও ৭১ ফাউন্ডেশন, নড়িয়া উন্নয়ন সমিতি নুসা, মাজেদা হাসপাতাল, নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, সখিপুর থানা আপয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
২০২০ সালের ১৬ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত শওকত আলী। তিনি শরীয়তপুর-২ আসনের ৬ বারের সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে আগরতলা মামলার ২৬ নম্বার আসামী, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বৃহত্তর ফরিদপুরের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন, শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ রাজনৈতিক ও সামাজিক কাজে জীবনের অধিকাংশ সময় পার করেছেন তিনি।