হৃদয়ে শরীয়তপুর ডেস্কঃ
শরীয়তপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন।বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। এসময় একটি রামদা ও একটি চাইনিজ কুড়াল জব্দ করে পুলিশ।
জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মো. মহসিন মাদবর ও যুগ্মআহবায়ক-২ রাশেদুজ্জামান রাশেদ সমর্থকদের মধ্যে এই মারামারি হয়। আহত ব্যক্তিরা হলেন- ছাত্রলীগ কর্মী ওই কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রাজন আকন, স্বরণ, ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র কাজী সুজন, একাদশ শ্রেণির ছাত্র জাহিদ হাসান, সাফ্ফার, দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র মিনহাজ ও শরীয়তপুর পৌরসভা ৮নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র জহিরুল শিকদার।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. হারুন অর রশিদ বলেন, বুধবার সকাল ৯টা থেকে একাদশ শ্রেণির অরিয়েন্টেশন প্রথম ক্লাস ছিল। আমরা তিনটি ক্লাসে বিভক্ত করেছি ব্যবসা, বিজ্ঞান ও মানবিক শাখা। ক্লাস শেষে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একটি মিছিল বের হয়। পরে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছে। প্রথম শুনেছি ভিন্ন একটি ছাত্র সংগঠন এই মারামারির সঙ্গে লিপ্ত আছে। পরে জেনেছি তাদের নিজেদের হন্তদন্ত। এঘটনায় কয়েকজন আহত হয়। আমরা বিষয়টি পুলিশকে জানাই, তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পালং মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, সামান্য একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনায় ছাত্রদের মধ্যে মারামারি হয়েছে। পরে আমরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি।
জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মো. মহসিন মাদবর বলেন, ছাত্রদলের তথাকথিত সন্ত্রাসীরা কলেজ ক্যাম্পাসে এসে একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। তখন বিশৃঙ্খলা এড়াতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা প্রতিবাদ করে। তখন তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের আহত করে। পরে আমরা ক্যাম্পাসে আসি। তিনি আরও বলেন, যে যাই বলুক আমাদের মধ্যে কোন গ্রুপিং নেই।
জেলা ছাত্রলীগের যুগ্মআহবায়ক-২ রাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেন, ছাত্রদলের কিছু ছেলেপেলেরা কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকে অরাজকতা সৃষ্টি করবে আগেই শুনেছি। পরে বুধবার তরা কলেজে ঢুকার চেষ্টা করলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা হয়। এতে কয়েকজন আহত হয়।