হৃদয়ে শরীয়তপুর ডেস্কঃ
সাংবাদিককে গালিগালাজ ও হুমিকদাতা শরীয়তপুরের ডামুড্যা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সেই প্রধান শিক্ষক সুজিত কর্মকার এবার জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসানের নামে মামলা করতে চায়। সোমবার (২২ আগস্ট) রাতে ১ মিনিট ৪০ সেকেন্ডের ভিডিওতে এ তথ্য জানা যায়।
ওই ডিভিওতে দেখা যায়, সুজিত কর্মকার বলছেন, ” প্রায় শতাধিক মানুষের সামনে ডিসি (শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান) আমাকে ইউএনও অফিসে অপমান করেছে। আমি তার বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করবো, এমপি (নাহিম রাজ্জাক) এর সায় আছে এতে। ডিসি হইছে তাতে কি হইছে। এই চাকরি না করলে কি হইবো।
জানাগেছে, শরীয়তপুরের ডামুড্যা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শ্রী রথি কান্ত মিস্ত্রীর বিরুদ্ধে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরে ওই শিক্ষকের বিষয় জানাতে চাইলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুজিত কর্মকার স্থানীয় দুই সাংবাদিক শাহাদাত হোসেন হিরু ও আশিকুর রহমান হৃদয়কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, মারধর ও হুমকি দেয়। এমন একটি মোবাইলে কথপোথনের অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। এঘটনায় শুক্রবার দুপুরে ভুক্তভোগী সাংবাদিক আশিকুর রহমান বাদী হয়ে ডামুড্যা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। এদিকে, সোমবার সকালে ডামুড্যা উপজেলা অডিটোরিয়ামে জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান এক অনুষ্ঠানে ওই প্রধান শিক্ষক (সুজিত কর্মকার) এর কাছে সাংবাদিকদের হুমকির বিষয় জানতে চায়। এতে চরম ক্ষু্দ্ধ হয় সুজিত। এরপর সে জেলা প্রশাসকের নামে মানহানির মামলা করবেন এমন একটি ভিডিও পাওয়া গেছে। এ ভিডিও ভাইরাল হবার পর জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, শিক্ষক সুজিত কর্মকারের খুঁটির জোর কোথায়? তার বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে শরীয়তপুরের ডামুড্যা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সেই প্রধান শিক্ষক সুজিত কর্মকারের বক্তব্যের জন্য বারবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান বলেন, আচ্ছা ঠিক আছে।