রবিবার ১১ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ রাত ৩:২২

শরীয়তপুর আইনজীবী সমিতির সাবেক ও বর্তমান সভাপতির বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

এপ্রিল ২৫, ২০২৩            

হৃদয়ে শরীয়তপুর ডেস্কঃ

শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ্যাড. জহিরুল ইসলাম ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমান সভাপতি মো.আবু সাঈদের বিরুদ্ধে আইনীজীবীদের কল্যাণ তহবিল এফডিআরের এক কোটি ৪২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। টাকা আত্মসাৎ করায় শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি সোমবার (২৪ এপ্রিল) বিকালে এক সভার আয়োজন করা হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী টাকা আত্মসাদের দায়ে দুই জনের আইনজীবী সমিতির সদস্য পদ স্থগিত ও তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়াও ঘটনা তদন্তের জন্য ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পরবর্তী নির্দেশনার আগ পর্যন্ত তারা শরীয়তপুরের কোনো আদালতে আইন পেশায় নিয়োজিত থাকতে পারবেন না।

শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতিতে ২০১২ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যাংকে ৬৫ লক্ষ টাকা এফডিআর করা হয়। এর পর ২০১৯ সাল সাল পর্যন্ত আরও ৬৫ লক্ষ টাকা এফডিআর করা হয়। ২০১৯ সাল হতে ২০২১ সালের মধ্যে এফডিয়ারের ওই ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা ও তার লভ্যাংশের ৫০ লাখ টাকাসহ মোট ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ ওঠে। ওই সময়ে আবু সাঈদ দুইবার সভাপতি ও দুই দফা সাধারণ সম্পাদক হন। আর জহিরুল ইসলাম এক বার সভাপতি ও দুইবার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এ বছর পুনরায় আবু সাঈদ সভাপতি নির্বাচিত হন। আত্মসাৎ করা টাকার মধ্যে গত সপ্তাহে আবু সাঈদ ৪০ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছেন।

শরীয়তপুর আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মো. তাজুল ইসলাম জানান, শরীয়তপুর জেলা আইনজীবী সমিতির ১কোটি ৪২লাখ টাকা আত্মসা করার ঘটনায় তদন্তের জন্য ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পরে বিষয়টি নিয়ে সাধারণ সভায় আলোচনা হবে। সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ সময়ের মধ্যে তারা শরীয়তপুরের কোনো আদালতে আইন পেশায় নিয়োজিত হতে পারবেন না।

আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন সময়ে এফডিআর ম্যাচুরিটি হওয়ার তথ্য আমাকে জানানো হয়েছে। আবু সাঈদ বিভিন্ন সময় এফডিআর করার কথা বলে আমার কাছ থেকে বিভিন্ন ডকুমেন্ট ও চেকে সই নিয়েছেন। পরবর্তীতে তিনি এফডিআরের কপিও আমাকে দেখিয়েছেন। এখন মনে হচ্ছে সেগুলো নকল। এ ঘটনা জানাজানি হলে তিনি স্বীকার করেছেন টাকা ফেরত দেবেন। ইতোমধ্যে ৪০ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছেন। এর সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. আবু সাঈদ বলেন, একটি এফডিআর ম্যাচুর হয়েছে। ওই এফডিআরের ৪৯ লাখ টাকা আমার অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছিল। তার থেকে ৪০ লাখ টাকা গত সপ্তাহে আমি দিয়ে দিয়েছি। এর বাইরে আর কোনো টাকার বিষয়ে এই মুহূর্তে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারব না। বিষয়টি যেহেতু তদন্ত করা হবে, তাই তদন্ত হওয়া পর্যন্তই আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।

© Alright Reserved 2021, Hridoye Shariatpur