শাহেদ আহমেদ বাবু, গোসাইরহাটঃ
গোসাইরহাট -ঢাকা রুটের ঈগল -১০ নামের তিনতলা লঞ্চ থেকে মেঘনা নদীতে পড়ে নিখোঁজ যাত্রী ১০ঘন্টা পর উদ্ধার হয়েছে। আহত জহুরার (৩৮) বাড়ি কুচাইপট্রি ইউনিয়নের বসকাঠী গ্রামে। নিখোঁজের ১০ ঘন্টা পর কোদালপুর ইউনিয়নের ঠান্ডার বাজার নামক যায়গায় আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে।
এই ঘটনায় জড়িত সন্ধেহে তার স্বামী জহিরুল মৃধা(৪২)কে শিকল দিয়ে বেধে মারপিট করে স্থানীয় জনতা। তাদের দাবী জহুরাকে তার স্বামী জরেরুল ধাক্কা দিয়ে লঞ্চ থেকে ফেলে দেয়।
গোসাইরহাট থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে কুচাইপট্রি লঞ্চঘাটে যাত্রী নেওয়ার জন্য ভেড়ায় গতকাল রাত ১০টার দিকে ইগল-১০ নামের লঞ্চে উঠেন স্বামী এক সন্তান সহ জহুরা নামের ঐ নারী।
আহত জহুরার স্বামী জহিরুল জানান, তারা ঢাকা উদ্যেশে গোসাইরহাট পট্রি ঘাট থেকে ছেড়ে আসা ইগল-১০ নামের গতকাল রাত ১০টার দিকে কুচাইপট্রি থেকে যাত্রীবাহী লঞ্চে ওঠেন। লঞ্চটির দোতলার ২০২ নাম্বার ক্যাবিনে উঠি এর কতখন পর তার স্ত্রী পান সুপারীর সাথে জর্দা খাওয়ায় মাথা ঘুরায় বলে জানায় স্ত্রী, এরপরে পানি খেতে চাইলে বোতলে থাকা পানি দেন তার স্বামী, মুখের পানি কুলিকরে ফেলতে গিয়ে মাথা ঘুরিয়ে হঠাৎ নদীতে পড়ে যায়। তাৎক্ষণিক তার স্বামী জহিরুল বিষয়টি চালককে জানায় তারা লঞ্চটি থামিয়ে ২ঘন্টা খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
একই সাথে তার স্বামী জহিরুল পানিতে ঝাপিয়ে পরে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। একপর্যায়ে তাকে খুজেঁ পাওয়া না যাওয়ায় তিনি হতাশ হয়ে যান।অন্যদিকে এই ঘটনায় স্থানীয় জনতা ও তার শশুর বাড়ির লোকজন এসে মারধর করেন জহিরুলকে।
লঞ্চের ক্যাবিন বয় মো. বিল্লাল জানান, একজন যাত্রী পড়ে যাওয়ার খবর পেয়ে লঞ্চটি অনেকক্ষণ সেখানে নোঙর করে রেখে খোঁজাখুঁজি করা হয়। কিন্তু নিখোঁজের সন্ধান না পেয়ে তারা যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন তবে ঘটনাস্থলে লঞ্চের লোক রেখে যান।
গোসাইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসলাম সিকদার জানান, পান খেয়ে মাথা ঘুরে লঞ্চ থেকে নদীতে পড়ে যাত্রী নিখোঁজের ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। স্বজন ও এলাকাবাসী নদীতে নৌকা নিয়ে খোঁজাখুঁজি করছেন কিন্তু ঐ রাতে সন্ধান মেলেনি আজ সকাল ১১ টার দিকে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতে আনা হয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্মরত চিকিৎসক ঢাকায় রেফার্ড করেছেন।