মঙ্গলবার ২৬শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ বিকাল ৩:৪১

ভেদরগঞ্জে জরাজীর্ণ পাটখড়ির ঘরে মানবেতর জীবনযাপন মোতালেব মোল্লা ও জায়েদা বেগমের

মার্চ ২৫, ২০২২            

হৃদয়ে শরীয়তপুর ডেক্স:
বর্তমান সরকার জমি আছে ঘর নাই- এমন অসহায় লোকদের গৃহনির্মাণ করে দিলেও শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার অসহায় বৃদ্ধ  মোতালেব মোল্লার ভাগ্যে জুটেনি বর্তমান সরকারের গৃহনির্মাণ প্রকল্পের ঘর। জরাজীর্ণ পাটখড়ির ঘরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন মোতালেব মোল্লা ও জায়েদা বেগম।

ভেদরগঞ্জ উপজেলার চরকুমারীয়া ইউনিয়নের হাওলাদার কান্দি গ্রামের মৃত আলী হোসেন মোল্লার  ছেলে অসহায় বৃদ্ধ মোতালেব মোল্লা ৩০ বছর যাবত শ্বশুর বাড়ির জায়গায় পাটখড়ির ঘরে বসবাস করছেন। গৃহহারা মোতালেব মোল্লার এই কষ্টের খবর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারের কোনো কর্মকর্তার নজরেও আসেনি।

সরেজমিন দেখা গেছে, ভাঙাচুরা একটা গর। ঘরের ভেতর শোয়ার জন্য একটি বাঁশের মাচা করে বৃদ্ধ স্ত্রী জায়েদা বেগমকে নিয়ে কোনোরকম রাত কাটাচ্ছেন বৃদ্ধ মোতালেব মোল্লা। রান্না করার জন্য নেই আলাদা কোনো ঘর। ঘরের সাথে চাল দিয়ে চলছে কোনো রকম রান্নার কাজ। বৃষ্টি হলেই তাদের দুজনকে ভিজতে হয় অবিরাম।

মোতালেব মোল্লার স্ত্রী জায়েদা বেগম কেঁদে কেঁদে বলেন, বাবা কোনো রকম বাইচা আছি এক বেলা খাইলে আরএক বেলা হয় না। শীতের মধ্যে প্রতি বছর খুব কষ্ট করতে হয়। শীতের মধ্যে এত কম্বল সরকার দিল, আমাদের কপালে একটাও জোটেনি। জায়েদা কেঁদে কেঁদে আরো বলেন, সরকার যদি একটা থাকার ঘর করে দিত, তাহলে শান্তিতে বাচতে পারতাম।

বৃদ্ধ কর্মহীন মোতালেব মোল্লার এক ছেলে খুলনা থাকে স্ত্রী সন্তান নিয়ে তাদের কোন খোজ নেন না এক মেয়ে প্রতিবন্ধি বিয় দিছেন সেও আছে অশান্তিতে।

মোতালেব মোল্লার এ খবর শুনে গণমাধ্যম কর্মীরা ছুটে যান বৃদ্ধ মোতালেব মোল্লা ৩০ বছরের কষ্টের কথা শুনতে। গণমাধ্যম কর্মীদেরকে বৃদ্ধ মোতালেব মোল্লা বলেন, আমি কোনো রকম সংসার চালায় কর্মও নাই কি করে কি খাইমু। ঘরটা যে উঠাইমু তার কোন উপায় নাই। দুইটা খুটির উপর ঘরটা আছে বাঁশ কিনার পয়শাও নাই। সরকার যদি আমাদের একটু সহযোগিতা করতো তাহলে অনেক উপকার হতো।

© Alright Reserved 2021, Hridoye Shariatpur