মোঃ সাহেদ আহমেদ,গোসাইরহাটঃ
গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে (গোসাইরহাট পৌরসভার ৩নং ৪নং ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা পানি বন্ধি হয়ে পরেছেন। রাস্তার নিছ দিয়ে ড্রেনে বন্ধ হয়ে আছে পানি, চলাচলের হালট দখল হয়ে যাওয়ার কারনে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, বিভিন্ন স্থাপনা। পানি জমে কোথাও হাঁটু থেকে কোমর পানি উঠে গেছে। ভোগান্তিতে পড়েছে ঐ গ্রামের বসবাসকারী কয়েকশ মানুষ। পানিতে ভেষে গেছে পুকুরের মাছ। ভারী বর্ষণের কারনে বিভিন্ন এলাকায় ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতাও দেখা দিয়েছে।
ভুক্তভোগিরা জানান পৌরসভা দাশের জঙ্গল বাজারের আশপাশের ঘরবাড়ি এবংকি চলাচলের রাস্তা অনেক যায়গায় সি সি রাস্তা করা হয়নি, আর নির্মাণ করলেও তা তুলনামূলক উচুঁ না করার কারনে প্রতিবছর বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়ে যায় তাই স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোব প্রকাশ করে বলেন ময়লা আবর্জনা অথবা ভরা বর্ষার পানি কিংবা বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতায় থাকতে আমাদের অন্য মশার উতপাত দুর্গন্ধ সবকিছু নিয়েই চরম বিপাকে স্থানীয় পৌর বা উপজেলা প্রশাসন এর কারন চিহ্নিত করা বা প্রতিকারের কোনো পদক্ষেপেই নিচ্ছেন না।
গোসাইরহাট পৌরসভা তথ্যমতে দাশের জঙ্গল বাজারে ২০১৯ -২০ অর্থ বছরে বাজার উন্নয়নে এক কোটি টাকা ব্যায়ে বাজারের পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মান করা হয়। কিন্তু বাজারের প্রতিটি গলির পানি ড্রেন সংযোগও ময়লা জমে আটকে রয়েছে। যারফলে পানি বের হতে না পারায় রাস্তা প্লাবিত হয়ে থাকে। তবে আশপাশের বাজার কেন্দ্রীক বসতবাড়ি গুলো নিছু হওয়ায় ঐ ড্রেন তাদের কোনো কাজেই আসে না। সেটা দেখেও সেখানকার পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থাই করা হয়নি।
এই বিষয় ৫নংওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মিন্টু বেপারী বলেন আমার এলাকায় বৃষ্টি হলেই প্রতি বর্ষায় পানি আটকে থাকার বিষয়টি আগের পৌর প্রশাসককে অনেকবার অবহিত করেছি এখন নতুন পৌর প্রশাসককে জানাবো, এবিষয়ে অন্য ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে গোসাইরহাট পৌর প্রশাসক কাফী বিন কবির বলেন বিষয়টি ভলো করে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।