হৃদয়ে শরীয়তপুর ডেক্স :
শরীয়তপুরে বিয়ে করতে না পেরে বসতঘরে ঢুকে তরুণীকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার ১৭ মার্চ রাতে শরীয়তপুর শহরের চর পালং এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আহত তরুণীর নাম কাকলী আক্তার (১৮)। তিনি চরপালং এলাকার নুরুজ্জামান মাতবরের মেয়ে। অভিযুক্ত তরুণ হলেন জাহিদুল ইসলাম (২২)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাকলী স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করতেন। মাদ্রাসাটির প্রাক্তন ছাত্র জাহিদুল ইসলাম তাঁকে উত্ত্যক্ত করতেন। বিয়ে করার জন্য তরুণীর পরিবারে প্রস্তাব দেন তিনি। প্রস্তাবে অস্বীকৃতি জানায় কাকলীর পরিবার। সম্প্রতি কাকলীর অন্য জায়গায় বিয়ে হয়। এতে ক্ষুব্ধ হন জাহিদুল। এর জেরে গতকাল রাতে বসতঘরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাকলীকে কুপিয়ে জখম করেন জাহিদুল। এ সময় চিৎকার শুনে আশপাশের মানুষ এসে জাহিদুলকে আটক করে গণপিটুনি দেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দুজনকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সুমন কুমার পোদ্দার প্রথম আলোকে বলেন, তরুণীর ঘাড়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত আছে। এ ঘটনায় তরুণকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
পালং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আক্তার হোসেন বলেন, তরুণীকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগে জাহিদুল নামের এক তরুণকে আটক করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজন তাঁকে গণপিটুনি দিলে আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকায় পাঠানো হয়। এ ঘটনায় এখনো থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।