নাসিরুল ইসলাম স্টাফ রিপোর্টার:
শরীয়তপুর সদর উপজেলার তুলাসার ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহিদ ফকিরের আনারসের সমর্থকদের উপর হামলা, বাড়িঘর ভাংচুর করেছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ জামাল ফকিরের নৌকার সমর্থকরা। হামলায় আনারসের ৫ জন সমর্থক আহত হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে সদর উপজেলার তুলাসার ইউনিয়নের রংয়ের বাজার এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তুলাসার ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহিদ ফকিরের আনারসের সমর্থক রাজ্জাক দেওয়ান বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রংয়ের বাজার বড় ব্রিজ সংলগ্ন রহমান সরদারের দোকানে চা খাচ্ছিলেন, এসময় আওয়ামী লীগের মনোনীত জামাল ফকিরের সমর্থক জাহাঙ্গীর দেওয়ান ও জহির বেপারীর নেতৃত্বে নৌকার মিছিল নিয়ে এসে তাদের উপর হামলা করে। হামলায় আনারসের সমর্থক রাজ্জাক দেওয়ান(৫২), উদোম আলি সিকদার (৫৫), দোকানদার রহমান সরদার ও তার মা সহ ৫ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে রাজ্জাক দেওয়ান ও উদোম শিকদাররে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলাকারীরা, আনারসের সমর্থক ইসাহাক সিকদার, আনোয়ার সিকদার ও রহমান সিকদারের বসত ঘর ভাংচুর করেছেন।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি আহত রাজ্জাক দেওয়ান জানান, বুধবার রঙের বাজার বড় ব্রিজের সামনে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জাহাঙ্গীর দেওয়ান,সাগর দেওয়ান,কালাম দেওয়ান,আলমগীর দেওয়ান,জহির বেপারি আরও অনেকে আমাদের উপর হামলা করে। তাদের সাথে লাঠি ও নানা ধরনের দেশীয় অস্ত্র ছিল। আমি সহ আরেক জন হাসপাতালে ভর্তি আছে এছাড়া আমাদের আরও কয়েকজন লোক প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে গেছে। থানায় মামলা করিনি কিন্তু করবো। আমরা স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ ফকিরের আনারসের সমর্থক।
তুলাসার ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহিদ ফকির বলেন, আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ১১ই নভেম্বর, এই নির্বাচনে আমি আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতেছি , গতকালকে আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে নৌকা মার্কার সমর্থিত লোকজন অতর্কিতভাবে রহমানের চার দোকানে বসে চা খাওয়া অবস্থায় আমার আনারসের সমর্থকদের উপর অতর্কিত হামলা করে। হামলায় আমার ১০/১৫ জন লোক আহত হয়, ২/৩জন শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে। আমাদের লোকজনের বাড়ি ঘরের উপর হামলা হয়েছে। অনেক হুমকি ধমকি দেওয়া হয়েছে। গতকালকে থেকে এই পর্যন্ত আমাদের লোকজনকে ওই অঞ্চলে উপর গাও এবং ১০রশিতে ভোট চাইতে দেওয়া হচ্ছে না
নৌকার প্রার্থীর সমর্থক জাহাঙ্গীর দেওয়ান বলেন, আনারসের লোকজন নৌকার সমর্থকদের উপর হামলা করার পরে, নৌকার সমর্করা আনারসের সমর্থকদের উপর হামলা করে। নৌকার লোক তাদের আগে উত্তেজিত করে নাই তারা নৌকার লোকদের উত্তেজিত করেছে। তারা এদেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে।
পালং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকতার হোসেন বলেন, দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীদের উত্তেজনার কথা শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এঘটনায় এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।