শনিবার ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ সকাল ১০:৫৩

তিন দিন ধরে একটি পরিবারের নাওয়া-খাওয়া ও প্রাকৃতিক কাজ বন্ধ

এপ্রিল ২৬, ২০২৩            

হৃদয়ে শরীয়তপুর ডেস্কঃ

তিন দিন ধরে নাওয়া, খাওয়া ও প্রাকৃতিক কাজ বন্ধ রয়েছে একটি পরিবারের। জমি সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিবারটির গোসলখানা, রান্নাঘর ও টয়লেট ভেঙে দিয়েছে চাচাতো ভাইয়েরা। চাচাতো ভাই আল ইসলাম সরদার এসব ভেঙে দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। বুধবার (২৬ এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, শরীয়তপুর সদর উপজেলার  রঙের বাজার এলাকার দড়িহাওলা গ্রামের মফিজ উদ্দিন সরদার স্ত্রী, পুত্র, যুবতী মেয়ে ও পুত্রবধুদের নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, অনেক বছর ধরে মফিজ সরদারের (৬০) সাথে তার চাচাতো ভাই আল ইসলাম সরদারের(৪৫) সাথে উত্তারাধিকার সূত্রে পাওয়া জমি নিয়ে বিবাদ চলে আসছিল। গত সোমবার(২৪ এপ্রিল) ভোর ৬ টার দিকে মফিজ সরদারের নিত্য ব্যবহারের রান্না ঘর, গোসলখানা ও টয়লেট ভেঙে দিয়েছে চাচাতো ভাই আল ইসলাম সরদার। তিনি ঢাকাতে ব্যবসা করেন। ঈদ উপলক্ষ্যে তিনি গ্রামে বেড়াতে এসে মফিজ সরদারের রান্নাঘর, গোসলখানা ও টয়লেটসহ বাড়ির বেরা ও বাড়ির সীমানায় যে টিনের বেড়া ছিল তা ভেঙে দিয়েছেন।

মফিজ সরদারের পুত্রবধু সীমা বেগম(২৭) বলেন গোসখানা ভেঙে দিয়েছে আল ইসলাম সরদার। চারপাশে মানুষ থাকার কারণে তিন দিন ধরে গোসল করতে পারছি না। কোনো কাজও করতে পারছি না। টয়লেট করতে পারছি না। এসবের প্রতিবাদ করায় আমদেরকে মারতেও এসেছেন আল ইসলাম সরদার।

মফিজ সরদারের স্ত্রী সুরতন্নেছা বলেন আজ তিনদিন ধরে নাওয়া খাওয়া নাই। ঈদে আত্মীয় স্বজন এসেছে তাদেরকে কোনো কিছু রান্না করে খাওয়াতে পারি না। রৌদ্রের মধ্য দিয়ে আমি মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের চুলায় রান্না করে এনে ঝি-বৌদের খাওয়াই। আমার স্বামীর মায়ের পেটের একজন ভাই থাকলে সে এসে আমাদের পাশে দাঁড়াতে পারত। আমি আমার স্বামীর পাশে দাঁড়াই বলে আমাকে মুখে যা আসে তাই বলে গালাগাল করে।

মফিজ সরদার বলেন, আমাদের পৈতৃক সম্পদ জোড় পূর্বক কেড়ে নেওয়ার জন্য আল ইসলাম সরদার তার ভাইদের নিয়ে ভাঙচুর করেছে। টয়লেটে যেতে পারছি না, খেতে পারছি না, গোসল করতে পারতেছি না। আমি থানায় অভিযোগ করেছি। যারা এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন তাদের বিচার দাবি করছি।

আল ইসলাম সরদার বলেন, আমাদের জায়গা বুঝিয়ে দেয় নাই বলে আমরা ভাঙচুর করেছি। স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ মুরব্বিরা দরবার করে দেওয়ার পরেও তারা আমাদের জায়গা বুঝিয়ে দেয়না। এখন আমরা নিজেদের জায়গা বুঝে নেব।

পালং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ  আক্তার হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ভুক্তভোগীরা এজহার দায়ের করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

© Alright Reserved 2021, Hridoye Shariatpur