হৃদয়ে শরীয়তপুর ডেস্কঃ
ডামুড্যায় সামাজিক-সম্প্রীতি রক্ষা ও সামাজিক বন্ধনকে সুসংহত রাখা, ধর্মীয় উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ, সহিংসতা এবং সন্ত্রাসবাদকে প্রতিহত করার লক্ষে উপজেলা সামাজিক-সম্প্রীতি কমিটির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৯ আগস্ট) বিকালে ডামুড্যা উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাছিবা খান এর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শেখ মোহাম্মদ মোস্তফা খোকন, ডামুড্যা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শরিফ আহমেদ, সরকারি আব্দুর রাজ্জাক কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ জহির উল্লাহ, সহকারী কমিশনার ভূমি সবিতা সরকার, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজা খানম লাভলী, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এসএম গিয়াস উদ্দিন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার জালাল উদ্দীন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ওবায়েদুর রহমান, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা নাহিয়ান, উপজেলার আনসার ও ভিডিপির অফিসার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এমদাদুল হক ইনু বেপারী, আনোয়ার হোসেন মাল, ডামুড্যা উপজেলার সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার আবু বেপারি, কনেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান বাচ্ছু মাদবর, পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ পারভেজ লিটন হাওলাদার, ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মোল্যা, ডামুড্যা মুসলিম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঃ মজিদ, আলহাজ্ব ইমাম উদ্দিন মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আলমগীর হোসেন, ডামুড্যা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শামীম, উপজেলা কমপ্লেক্সে জামে মসজিদ এর পেশ ইমাম মাওলানা আব্দুল হাই, উপজেলা পূজা কমিটির সভাপতি ডাঃ সুধির চন্দ্র, রোভার স্কাউট তোয়ানুর প্রমূখ।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে গত ২৪ জুলাই আলাদা তিনটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ধর্মীয় সহিংসতা, সন্ত্রাসবাদ, উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ প্রতিহত করতে দেশের সব জেলা-উপজেলায় ‘সামাজিক সম্প্রীতি কমিটি’ গঠন করা হয়। সরকারিভাবে গঠিত উপজেলা পর্যায়ের ২৪ সদস্যের কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন ইউএনও।
ইউএনওর সভাপতিত্বে কমিটিতে সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্যকে প্রধান উপদেষ্টা এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে উপদেষ্টা করা হয়েছে।
অন্যদিকে ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটিতে রয়েছেন ১৪ সদস্য। ইউপি চেয়ারম্যান এ কমিটির প্রধান। আর ইউনিয়ন পরিষদের সচিবকে করা হয়েছে সদস্য সচিব।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কমিটির সদস্যরা নিজ নিজ এলাকায় সম্প্রীতি সমাবেশ করবেন। ধর্মীয় সহিংসতা, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ প্রতিহত করতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালাবেন। মসজিদ, মন্দির, গির্জাসহ সব ধর্মীয় স্থাপনায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করবে এসব কমিটি। সব ধর্মীয় উৎসব যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনায় উদযাপনে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে কাজ করবে এসব কমিটি। এছাড়া ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার রোধে সবাইকে সচেতন করবেন কমিটির সদস্যরা।