শাওন বেপারী, জাজিরা প্রতিনিধিঃ
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে পাঁচ বছর পরে পূণরায় সিজারিয়ান মায়েদের জন্য ওটি শেকসন চালু করা হয়েছে। রবিবার (২১-আগস্ট) দুপুর দুইটার সময় শ্রাবণী আক্তার নামে এক মায়ের সিজারের মধ্য দিয়ে এই কার্যক্রম শুরু করা হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের তিনতলার ৩১০ নম্বর রুমের অপারেশন থিয়েটারে বেলা দেড়টার সময় জাজিরার ফকির মাহমুদ আকন কান্দি গ্রামের খলিল বেপারীর স্ত্রী শ্রাবণী আক্তারকে ঢুকানো হয়। এরপর যথাক্রমে অপারেশন এনেস্থিসিয়া ও সার্জন দল ভেতরে প্রবেশ করে। উক্ত অপারেশনের সার্জন দলে ছিলেন, ডা. শায়লা নাজনীন, ডা. তাসীন ইশরাক ও ডা. রাবেয়া খান এবং এনেস্থিসিয়া দলে ছিলেন, ডা. সালাউদ্দিন ও ডা. রোমান বাদশা।
বেলা দুইটায় সিজারটি শুরু হয় এবং শেষ হয় বেলা আড়াইটায়। জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের উক্ত সফল সিজারের মধ্য দিয়ে কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই খলিল বেপারি ও শ্রাবণী আক্তার দম্পতির একটি মেয়ে সন্তান জন্ম হয়।
এর আগে খলিল বেপারি ও শ্রাবণী আক্তার দম্পতির আশরাফুল ইসলাম রাফসান নামে আট বছর বয়সী একটি ছেলে ছিলো। এখন তারা দুই ভাই-বোন হলো।
খলিল বেপারি জানায়, এর আগে এখানে সিজারের ব্যবস্থা ছিলোনা, আমি এই ব্যবস্থাটা পেয়ে অত্যন্ত খুশি এবং এখানে বিনামূল্যে সিজার করাতে পারলে আমাদের মত সাধারণ মানুষের অনেক উপকার হবে।
জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল হাসান বলেন, এর আগে ২০১৭খ্রীঃ সালে একবার সিজার শুরু করেছিলাম, কিন্তু গাইনি চিকিৎসকের অভাবে সেটি বন্ধ হয়ে যায় এবং অদ্যাবধি তা চালু করা সম্ভব হয়নি। পূণরায় আমি এখানে গরীব মানুষের জন্য সিজার ব্যবস্থাটা চালু করলাম যা প্রতি সপ্তাহের শনি ও রবিবার দুইদিন করে চলবে।