রাসেল বেপারী, জাজিরা:
জাজিরায় আতঙ্কের নাম হয়ে উঠেছে “কিশোর গ্যাং”। এলাকাভিত্তিক স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা এবং কিশোরদের নিয়ে রয়েছে বিভিন্ন গ্রুপ। যাদের কারণে প্রতিনিয়ত মাদকের নেশায় ছিনতাই, চুরি, ইভটিজিংসহ জড়িয়ে পড়ছে নানা অসামাজিক কর্মকান্ডে।
এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্নজনের ব্যক্তিগত একাউন্টে দেশীয় অস্ত্র সহ পিস্তল এবং নানা ধরনের ধারালো জিনিসপত্র একেক জন কে উদ্দেশ্য করে পাল্টা পাল্টি ছবি আপলোড করে তাদের ক্ষমতার জানান দেয়। এতে হয়রানির শিকার হচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। সম্প্রতি গত ১২ মে ২০২২ জাজিরা উপজেলা ক্যাম্পাসে ঢুকে কিশোর গ্যাং এর কিছু সদস্যরা রাতুল নামে এক কিশোরকে মাথায় ছুরিঘাত করে পালিয়ে যায়।
গত ১৩ এপ্রিল ২০২২ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথা কাটাকাটির জের ধরে জাজিরা উপজেলা শহরে দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্স হয় এবং তাদের শক্তির জানান দিতে দেশেও অস্ত্রসহ সংঘর্সে লিপ্ত হয়। এ সময় পুলিশ তাদের কে নিয়ন্ত্রনে আনতে বেশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট এবং টিয়ারসেল গ্যাস নিক্ষেপ করে। এ সময়ে বেশ কয়েকজন পুলিশ আহত হয় এবং পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলাও দায়ের করেন।
এই ঘটনাটি ঘটায় লাগাম টানতে জাজিরা থানার প্রশাসন এবং ওসি মিন্টু মন্ডল বলেছে কিশোর গ্যাং এর বিষয়ে জাজিরা থানা সর্বচ্চ গুরুত্বসহকারে বিষয়টা দেখছে এবং ভবিষ্যতে যাতে এরা কোন ধরনের এমন অপ্রিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে তার সর্বচ্চ নজরে প্রশাসন শতর্কতা রয়েছে।
এ বিষয়ে মানবাধিকার এক কর্মী বলেন, জাজিরা উপজেলার বিভিন্ন সময় সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রুপ অন্য গ্রুপের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় প্রতিনিয়ত যা মানবতা লঙ্ঘন। ফলে দেখা যায়, জাজিরা উপজেলা কিছু সংখ্যক তরুণ কিশোর গ্যাং এর সাথে লিপ্ত হয়ে আছে। কিশোর গ্যাং এর পেছনে ইন্দনদাতাকে খুঁজে বের করতে হবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে, তা না হলে কিশোর গ্যাংয়ের নির্মূল করা সম্ভব হবে না।
মূলত তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার, মাদকের টাকার ছড়াছড়ি, সঙ্গে কিছু অসৎ গ্রাম পর্যায়ের নেতার কারণে কিশোর অপরাধী বাড়ছে। দ্রুত এর লাগাম টেনে ধরতে না পারলে অবস্থা ভয়াবহ হবে। আর এই পরিস্থিতির জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী অভিভাবকরা। তারাই সন্তানদের সঠিক দায়িত্ব পালন না করায় তারা অপরাধী হয়ে উঠছে।