সাগর মিয়া, জাজিরাঃ
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লাইলাতুল হোসেনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৫ বছর) বয়সী এক শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে বর ও কনের বাবাকে ৫ হাজার টাকা করে মোট ১০হাজার টাকা অর্থদন্ড করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। বুধবার (৫জুলাই) দুপুর ২টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পালেরচর ইউনিয়নের সাদেক মুন্সির কান্দি গ্রামে কনের বাবার বাড়িতে গিয়ে এ বিবাহ বন্ধ করার পরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে উভয় পরিবারের অভিভাবককে ৫হাজার টাকা করে অর্থদন্ড করা হয়।
জানা যায়, পালেরচর ইউনিয়নের সাদেক মুন্সির কান্দি গ্রামের মো. ফরহাদ ফকিরের অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে শোভা আক্তার (১৫) কে পার্শ্ববর্তী কিনাই সরদার গ্রামের মো.সিরাজ শেখের ছেলে সোবাহান শেখ (২৪)এর সাথে বিয়ের আয়োজন চলছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লাইলাতুল হোসেন কনের বাবা মো. ফরহাদ ফকিরের বাড়িতে গিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে বর ও কনের বাবাকে ৫ হাজার টাকা করে মোট ১০ হাজার অর্থদন্ড করার পাশাপাশি ছেলে-মেয়েদের প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ দিবেন না মর্মে উভয় পরিবারের অভিভাবকদের কাছে মুচলেকা নেওয়া হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) লাইলাতুল হোসেন বলেন, `প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর বিয়ে দেয়ার জন্য আমি ওই ছাত্রীর অভিভাবককে পরামর্শ দিয়েছি। ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে দেবেন না বলে মেয়ের বাবার পক্ষে মেয়ের দাদা লিখিত অঙ্গীকারে স্বাক্ষর করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, জাজিরা উপজেলায় বাল্যবিবাহের কোন ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট পরিবারের অভিভাবক, বর, আয়োজক ও নিকাহ রেজিষ্ট্রার বা কাজীদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। এক্ষেত্রে আইনি ভাবে কোন প্রকার আপোষ নেই। বাল্যবিবাহ নিরোধ ও বন্ধে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগসহ বাল্যবিবাহ নিরোধ কমিটির সংশ্লিষ্টরা সদা তৎপর রয়েছেন বলে জানান।