সাগর ময়া, জাজিরাঃ
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পুর্ব নাওডোবা ইউনিয়নের অ্যাম্বিশন স্কুলের হৃদয় (১৭) নামের এক স্কুল ছাত্র প্রেমিকার সাথে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে।
নিহত হৃদয় (১৭) পুর্বনাওডোবা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ওসিমদ্দিন মাদবর কান্দি গ্রামের মোজাফফর শেখের ছেলে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, নিহত হৃদয়ের সাথে একই ক্লাশের সুবর্ণা (১৬) নামের এক ছাত্রীর সাথে দেড় বছর যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। আর তাদের এই সম্পর্ক অ্যাম্বিশন স্কুলের এক শিক্ষক করে দিয়েছেন। এর মাঝে হৃদয়ের সাথে প্রেমিকার সাথে ঝড়গা হলে ঐ শিক্ষক তাদের মিল করে দিতেন। এমনকি তিনি হৃদয়কে ছেলে এবং সুবর্ণাকে ছেলের বউ বলে ডাকতেন বলে জানা যায়। প্রেমিকা সুবর্ণা (১৬) একই গ্রামের দেলোয়ার বেপারীর মেয়ে।
গত ৮ই ফেব্রুয়ারী স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ঐ মেয়েকে নৃত্য করতে বারন করে হৃদয়।এ নিয়ে দুজনের মধ্যে মন মালিন্য হয়। সারাদিন একসাথেই ছিলেন তারা। বিপত্তি ঘটে সন্ধ্যায়, ঐ মেয়ে এক ছেলের থেকে ফুল নিলে হৃদয় তার প্রেমিকাকে আত্মহত্যার হুমকি দেন। বিষয়টি প্রেমিকা গুরুত্ব না দিয়ে যা খুশি করতে বলেন। রাত ৮টার দিকে হৃদয় বিষপান করেন এবং স্কুলের মাঠে বমি করা শুরু করলে স্কুলের শিক্ষকেরা ছাত্রদের মাধ্যমে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। হৃদয়ের বাবা ছেলের বিষপানের বিষয়টি বুঝতে পেরে তাকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এর পর হৃদয়ের স্বাস্থ্যের অবনতি দেখা দিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে গেলে সেখানে ২ দিন চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে প্রেমিকার বাড়িতে গেলে বাড়ি ঘর তালা মারা অবস্থায় পাওয়া যায়, তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায় নি।
নিহত হৃদয়ের বাবা মোজাফফর শেখ বলেন, স্যার আমার ছেলে মরছে, আমরা মরতে চাই না। ছেলের মৃত্যুর চার দিন পর তার মোবাইলের লক খোলার পরে আমরা জানতে পারি হৃদয়ের সাথে এক মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। সম্প্রীতি মেয়ের নানা আমাকে ডেকে নিয়ে মামলা করতে বারন করেন যদি মামলা করি তাহলে আমাকে গ্রাম ছাড়া সহ প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন।
অ্যাম্বিশন স্কুলের শিক্ষকদের কাছে এ ব্যপারে জানতে চাইলে তারা বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলতে বলেন। তবে তারা এটুকু স্বীকার করেন যে হৃদয় তাদের স্কুলের ছাত্র।
পদ্মা দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি তবে কোনো অভিযোগ না আসায় কোনো পদক্ষেপ নিতে পারি নি। অভিযোগ পেলে আমি ব্যবস্থা গ্রহন করবো।