হৃদয়ে শরীয়তপুর ডেক্স:
শরীয়তপুরের জাজিরায় বড়গোপালপুরে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংঘর্ষে মসজিদ ও বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়েছে। হামলায় উভয় গ্রুপে ১০ জন আহত হয়েছে। রবিবার (১২-জুন) সন্ধায় জাজিরা উপজেলার বড় গোপালপুর ইউনিয়নের কবিরাজ কান্দি ও গোপালপুর স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় চেয়ারম্যান প্রার্থী কেএম জামিল হোসেন ও বর্তমান চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান লিটু সরদার সমর্থকদের সাথে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সরজমিন গেলে জানায়, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কেএম জামিল হোসেন ও মাহবুবুর রহমান লিটু সরদার সমর্থকদের সাথে মাঝেমধ্যেই মারামারির ঘটনা ঘটে। সেই সূত্র ধরেই গতকাল বিকেলে লিটু সরদার সমর্থিত লোকদের সাথে দন্দে জড়ায় জামিল কবিরাজের সমর্থকেরা। এসময় উভয় পক্ষই দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে মারামারিতে জড়িয়ে পরে। এক পর্যায়ে লিটু সরদার সমর্থকেরা কিছুটা পিছু হটলেও কিছুক্ষণ পরে বাবুল আকনের নেতৃত্বে লিটু সরদার সমর্থিত লোকজন জামিল কবিরাজ ও সাবেক এমপি মাস্টার মুজিবুর রহমানের বাড়তে হামলা চালায়।
এসময় শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয় এবং কয়েকটি বসতঘরেও ভাঙচুর করা হয়। পাশাপাশি এই ঘটনায় একটি মসজিদে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয় ও আরও একটি মসজিদে ইটপাটকেল ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে জানালার গ্লাস ভেঙে দেয়া হয়। পাশাপাশি দুইটি ক্লাবে থাকা ৪ শতাধিক চেয়ার ভাঙচুর করা হয়।
এই ঘটনায় চেয়ারম্যান প্রার্থী জামিল কবিরাজ অভিযোগ করে বলেন, লিটু সরদারের সমর্থনে থাকা বাবুল আকন ভদ্রাসন ও শিবচরের লোকজন নিয়ে মারামারি করতে আসছে। তারা আমাদের দুইটি ক্লাবে থাকা ৫ শতাধিক চেয়ার এবং আমাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে। শুধু তাই নয় আল্লাহ’র ঘর মসজিদ ভাঙচুর করেছে।
তবে বাবুল আকনের দাবি তারা মসজিদ ভাঙচুর করেননি। জামিল কবিরাজের লোকজন মসজিদে হামলা করে তাদের নাম প্রচার করছে।
এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রুবেল মাদবর নামে একজন বলেন, লিটু সরদার সমর্থকেরাই মসজিদে হামলা করেছে। এদিকে এই ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এই বিষয়ে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনার পরপরই আমি সহ পুলিশের একাধিক টীম ওই এলাকায় কাজ করছে। এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি।