হৃদয়ে শরীয়তপুর ডেস্কঃ

শরীয়তপুরের জাজিরার কুণ্ডেরচর ইউনিয়নের চিটারচর এলাকার বাতিরচরে দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে প্রায় ৫০ বিঘা জমির ধান ও চারশ বিঘা জমির বিক্রয়যোগ্য ঘাস পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সোমবার ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটে।

ফসল হারিয়ে দিশেহারা কৃষক মোস্তফা খান (৪৬) কান্নায় ভেঙে পড়েন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুল হাসান সোহেল, জাজিরা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জামাল হোসাইন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) নজরুল ইসলাম।

ভুক্তভোগী কৃষক মোস্তফা খান বলেন, তিনি চুক্তিতে এই জমির ফসল কিনেছিলেন। কিন্তু পূর্বশত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটাল কিছু দুষ্কৃতকারী। যার ফলে তার এখন পথে বসার উপক্রম হয়েছে। বহু দায়-দেনা করে তিনি এখানে ধান ও ঘাস ক্রয় করেছিলেন প্রায় ৪ লাখ টাকা দিয়ে। যা প্রায় ৯ থেকে ১০ লাখ টাকা বিক্রয় করা সম্ভব ছিল।

কুণ্ডেরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন বেপারি বলেন, এটি অত্যন্ত ন্যক্কারজনক একটি ঘটনা। এ ধরনের আক্রমণ কোনোভাবেই কাম্য নয়। প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে যথাযথ বিচার করা হোক।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জামাল হোসাইন বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। যেহেতু অগ্নিসংযোগকারী একটি ক্রাইম করেছে, তাই পুলিশ প্রশাসন তা তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি। ইতোমধ্যে আমি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করেছি এবং স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ বিভিন্নজনের সঙ্গে কথা বলেছি। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুল হাসান সোহেল বলেন, আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পদ্মার চরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাটি পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরকে নির্দেশনা দিয়েছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের আমাদের জাজিরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।