হৃদয়ে শরীয়তপুর ডেস্কঃ
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার সেনেরচর ইউনিয়নের চরধুপুরিয়া কাচারি কান্দি গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ফিরোজ সরদার(৩৫) নামে একজন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ১২ জন। শুক্রবার (২১-অক্টোবর) বিকাল তিন ঘটিকার সময় দু’পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত স্থানীয় সাদেক সরদার ও বাদশা সরদার(সাবেক ইউপি সদস্য) গ্রুপের সাথে খবির সরদার ও দেলোয়ার সরদার(বর্তমান ইউপি সদস্য) গ্রুপের মধ্যে স্থানীয় আধিপত্য নিয়ে পূর্ব শত্রুতা চলে আসছে।
যা নিয়ে শুক্রবার সাদেক সরদার ও সাবেক ইউপি সদস্য বাদশা সরদার গ্রুপ এবং খবির সরদার ও বর্তমান ইউপি সদস্য দেলোয়ার সরদার গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে উভয় পক্ষের সমর্থকরা লাঠিসোটা ও ছেনদা-রামদাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে।
এছাড়া উভয় পক্ষের সমর্থকরা অন্তত ৫০ থেকে ৬০টি হাতবোমা/ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে জাজিরা থানা পুলিশ। এছাড়া উভয় পক্ষের সমর্থকরা প্রতিপক্ষের অন্তত ২০টি বাড়িতে থাকা বিভিন্ন ঘর কুপিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করে।
উক্ত সংঘর্ষে বোমার আঘাতে স্থানীয় খালেক সরদারের ছেলে ফিরোজ সরদার(৩৫) নামের একজন নিহত হয়েছে। এছাড়া অন্তত ১০/১২ জন আহত হয়েছে বলে জানা যায়। নিহত ফিরোজ সরদার সাদেক সরদার ও বাদশা সরদার গ্রুপের সমর্থক, সে দুই মেয়ে ও এক শিশু ছেলের বাবা। সে ঢাকায় ফলের ব্যবসা করতো।
আহতদের মধ্যে গুরুতর কয়েকজন হচ্ছে সাদেক সরদার ও বাদশা সরদার গ্রুপের হাবিব সরদার(৪৩), যার পায়ে টেটা বিদ্ধ হয়েছে। এছাড়া খবির সরদার ও দেলোয়ার সরদার গ্রুপের রফিক সরদার(৪৫), যার চোখে-মুখে টেটাবিদ্ধ হয়েছে। মারামারির এক পর্যায়ে খবর পেয়ে জাজিরা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে উভয় পক্ষের লোকজনকে লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
নিহত ফিরোজ সরদারের বিষয়ে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের ইমার্জেন্সিতে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. নাজিম উদ্দীন জানান, ফিরোজ সরদারকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসার পরে আমরা চিকিৎসা শুরু করার কিছুক্ষণের মধ্যেই সে মারা যায়।
জাজিরা থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এছাড়া কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করি এবং কয়েকজনকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে নিয়ে আসি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।