হৃদয়ে শরীয়তপুর ডেস্কঃ
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নে ফের সংঘর্ষে জড়িয়েছে দু’টি পক্ষ, একজন মহিলা সহ ৫ জন আহত হয়েছে। শনিবার (২৫-ফেব্রুয়ারী) সকাল সাড়ে ৬ টায় বিলাসপুরের বিভিন্ন জায়গায় দফায় দফায় এই সংঘর্ষ হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রথম ধাপে বিলাসপুর আব্দুল কুদ্দুস বেপারী উচ্চ বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে অবস্থিত একটি মাঠে ও বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মুলাই বেপারীর কান্দি হয়ে বুধাইর হাট পর্যন্ত এবং সেরেনকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে এ সংঘর্ষে হয়। সংঘর্ষ চলাকালীন উভয় গ্রুপ অন্তত কয়েক শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস বেপারী ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আঃ জলিল মাদবর গ্রুপের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে দফায় দফায় এ সংঘর্ষ চলে আসছে ।
সংঘর্ষে আহতদেরকে জাজিরা স্বাস্থ্য কমপ্লেসে চিকিৎসার জন্য আনা হলে তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে যার যার মতন চলে যায়।
জানা যায়, চেয়ারম্যান আ: কুদ্দুস বেপারী জাজিরা উপজেলা আওয়ামিলীগের সাবেক সদস্য এবং আ: জলিল মাদবর জাজিরা উপজেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য। দীর্ঘদিন যাবত তাদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছে।
সংঘর্ষের ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জাজিরা থানা পুলিশ ৩টি টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে। কয়েক ঘন্টা সংঘর্ষ চলার পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়।
সাবেক যুবলীগ নেতা এবং পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আ: জলিল মাদবর জানান, নির্বাচনের পর থেকেই আমার সমর্থকদের বাড়িতে থাকতে দেয়না। প্রশাসনের সহযোগিতায় বাড়িতে থাকলেও বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকি দেয়াসহ প্রতিনিয়ত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। একইভাবে এবার আমাদের উপর হামলা চালালে আমরা জবাব দিতে বাধ্য হয়।
চেয়ারম্যান আ: কুদ্দুস বেপারী জানান, সকালে হঠাৎ আ: জলিল মাদবরের সমর্থকরা আমার বাড়ি ঘেরাও করে হামলা চালালে আমার লোকজন তাদেরকে প্রতিহত করে এবং আমি তাৎক্ষণিক প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করি। এছাড়া এই ধরনের অপ্রীতিকর পরিবেশ আমরা চাইনা , মারামারি হলে আমার নূন্যতম কোন লাভ থাকলে আমি করতাম। কিন্তু আমার এতে কোন লাভই নেই।
জাজিরা থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সকালে আমরা সংঘর্ষের খবর পেয়ে সাথে সাথে বিলাসপুরে ঘটনা স্থানে যাই এবং টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। এই ঘটনায় একটি নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।