হৃদয়ে শরীয়তপুর ডেস্কঃ
সম্প্রতি জাজিরার বিলাসপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আ: কুদ্দুস বেপারী গ্রুপ এবং গত নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আ: জলিল মাদবর গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। এরই মধ্যে তিন দফা মুখোমুখি সংঘর্ষে হাজার-হাজার ককটেল/হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘোটানো হয়। যার ফলে নারী ও পথচারীসহ আহত হয়েছে অনেক মানুষ।
এই ঘটনায় একাধিক মামলার বিপরীতে বেশ কিছু আসামিদের গ্রেফতার পূর্বক আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং পুলিশ বিলাসপুর ইউনিয়নে নিয়মিত টহল দিয়েই চলেছে। এছাড়া একাধিক জায়গা থেকে বোমা বানানোর সরঞ্জাম এবং তৈরি হাতবোমাও উদ্ধার করেছে জাজিরা থানা পুলিশ।
এরই মধ্যে (২৮-ফেব্রুয়ারি) মঙ্গলবার দুপুরে আ: জলিল মাদবর গ্রুপের একাংশের নেতৃত্বে থাকা সাবেক ইউপি সদস্য স্বপন খান এবং তার ভাই পান্নু খানের পুরুষ শূন্য বাড়িতে হামলা চালিয়েছে আ: কুদ্দুস বেপারী গ্রুপের সদস্যরা। এসময় স্বপন খান ও পান্নু খানের বাড়িতে কোন পুরুষ মানুষ ছিলো না বলে জানিয়েছে তাদের পরিবার।
হামলাকারীরা স্বপন খান ও পান্নু খানের বাড়িতে হামলা চালানোর সময় অশ্রাব্য ভাষায় বাড়িতে থাকা মহিলাদের গালিগালাজ করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি। এসময় হামলাকারীরা তাদের বিল্ডিং ঘর এবং গরুর খামারসহ কয়েকটি ঘরের দিকে বেশ কিছু ককটেল/হাতবোমা নিক্ষেপ করে বিস্ফোরণ ঘটায়। আশেপাশে দোকানপাট ভাংচুর করা হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পান্নু খানের বিল্ডিংয়ের ছাদ, ওয়াল ও জানালাসহ বিভিন্ন জায়গায় এবং গরুর খামারের টিনের চালায় বোমা বিস্ফোরণের ফলে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া আশেপাশে বোমার বিভিন্ন অংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এবং জানালার গ্লাস ভেঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে আছে।
এ বিষয়ে স্বপন খানের মেয়ে সানজিদা আক্তার এবং পান্নু খানের স্ত্রী রোকসানা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আশেপাশের কয়েকটি এলাকা থেকে আ: কুদ্দুস বেপারী গ্রুপের লোকজন হঠাৎ তাদের বাড়িতে হামলা চালায় এবং বেশ কিছু ককটেল নিক্ষেপ করে। এসময় তারা ভয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে ভেতরে অবস্থান করছিলো।
তবে আ: কুদ্দুস বেপারী গ্রুপের অভিযুক্ত কয়েকজনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন যে, স্বপন খান এবং পান্নু খানের বাড়িতে হামলার বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমরা খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এছাড়া আমরা নিয়মিত বিলাসপুরের বিভিন্ন প্রান্তে টহল দিয়ে চলেছি। এখনও কেউ কোন লিখিত অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।