মোহাম্মদ জামাল মল্লিক :
শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এ্যাড.আক্তারুজ্জামান খান।
এ নির্বাচনকে ঘিরে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী অনেক প্রার্থীরা শুরু করেছেন দৌড়ঝাঁপ। এবার চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাড.আক্তারুজ্জামান খান ইতোমধ্যেই শুরু করে দিয়েছেন নৌকার প্রচারণা।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করে ছাত্র ও যুব রাজনীতি থেকে উঠে আসা, জনসাধারণের কাছে আইকন বলে পরিচিত এবং সর্বদা অসহায় দরিদ্রদের পাশে থাকা এ্যাড.আক্তারুজ্জামান খান ব্যাপক গণসংযোগ করছেন। রাত-দিন সমান তালে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। চেয়ারম্যান পদ প্রত্যাশী হিসেবে তিনি জনগণের ভালোবাসা পাচ্ছেন অনেক। প্রতিদিন ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে গিয়ে জনসংযোগ করছেন। ভোটারদের কাছে নৌকার পক্ষে ভোট চাওয়ার পাশাপাশি চাচ্ছেন দোয়া ও ভালোবাসা। অনেকে বুকে জড়িয়ে ধরে করছেন আদর, কেউবা মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন দোয়া ও ভালোবাসা।
এ্যাড.আক্তারুজ্জামান খান চিকন্দী ইউনিয়নের আবুরা গ্রামের বাসিন্দা । তিনি দীর্ঘদিন ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন, এছাড়াও শরীয়তপুর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও চিকন্দী ইউনিয়ন ছাত্রীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন । নীতিতে অটল এবং দুর্নীতি ও অনিয়মের সাথে তিনি আপোষ করেন না। তাঁর শৈশব ও কৈশোর কেটেছে চিকন্দী ইউনিয়নে। ছাত্র জীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতি মনে প্রাণে ধারণ করেন এ্যাড. আক্তারুজ্জামান খান । আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকার পাশাপাশি জনগণের সেবায় নিয়োজিত থাকার জন্য সর্বদা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তিনি।
দলীয় মনোনয়নের ব্যাপারে এ্যাড.আক্তারুজ্জামান খান বলেন, ‘‘বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সঠিক সিদ্ধান্তই নিবেন। যোগ্য ব্যক্তিকেই মনোনয়ন দিবেন। তিনি আরো বলেন, করোনাকালীন সময় থেকে আমি নিজের এবং পরিবারের কথা চিন্তা না করে কর্মহীন হয়ে পড়া অনেক অসহায় দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে আমার সাধ্যমত সহযোগিতা করে থাকি। আমি সব সময় দরিদ্র মানুষের পাশে থেকেছি। অসহায় দরিদ্র জনগণের পাশে থাকা আমার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। বলতে পারেন এটা আমার নেশা। এলাকার জনগণ আমাকে নির্বাচন করতে উৎসাহ দিচ্ছেন। তাদের আশা পূরণের জন্য আমি নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী। আশা করছি দল আমাকে মনোনয়ন দিবে। যখন ২০০৪ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার উপর গ্রেনেড হামলা হয় তখন সেই হামলার প্রতিবাদে শরীয়তপুর জামাত অফিস ভাঙচুর করতে গিয়ে আমাকে জেল খাটতে হয়েছে। আমি একজন আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। আমি প্রত্যাশা করি আমি নৌকার মনোনয়ন পাবো জনগণের সমর্থনের কারণে ও দুঃসময় থেকে আওয়ামী লীগের সাথে আছি বলে আশা করি ।
নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে জয়ী হওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ও শরীয়তপুর ১ আসনের এমপি ইকবাল হোসেন অপু মিয়ার হাতকে শক্তিশালী করে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অংশীদার হয়ে চিকন্দী ইউনিয়নের জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে চান এ্যাড.আক্তারুজ্জামান খান ।