হৃদয়ে শরীয়তপুর ডেক্সঃ
গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের খাবার সরবরাহে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নির্ধারিত পরিমাণের চাইতে কম এবং নিম্নমানের খাবার দেয়ার অভিযোগ করেছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। ভর্তি হওয়ার ১-২ দিন পরও খাবার দেওয়ার অভিযোগও করেছেন রোগীরা। খাবারের এমন অনিয়মের কারণে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা পড়েন দুর্ভোগে। রোগীদের সকালে দেওয়া হয় ছোট এক টুকরা রুটি একটি কলা আর একটি ডিম, দুপুর আর রাতের খাবার প্রতিনিয়ত দেওয়া হয় পাঙ্গাস ও তেলাপিয়া মাছ এবং মাঝে মধ্যে দেওয়া হয় ছোট এক টুকরা ফার্মের মুরগী। যদিও খাবারের তালিকা অনুযায়ী দেবার কথা রুই অথবা কাতল মাছ। এখানে ভর্তি হওয়া একজন রোগীর জন্য প্রতিদিন খাবার বাবদ বরাদ্দ ১৭৫ টাকা। এর মধ্যে সকালে নাস্তার জন্য ৪৯ টাকা আর দুপুর ও রাতের খাবারের জন্য ১২৬ টাকা। বরাদ্দকৃত এই টাকার মধ্যে রুই অথবা কাতল মাছ দেয়ার কথা থাকলেও পাঙ্গাস অথবা তেলাপিয়া মাছ ছাড়া অন্য মাছ দেয়া হয় না। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই খাবার সরবরাহ করে মেসার্স মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক মোঃ মাইনুদ্দিন পেদা।
এ বিষয়ে হাসপাতালে ভর্তি একাধিক রোগী জানান প্রতিদিন হয় পাংগাস না হয় ছোট এক টুকরা তেলাপিয়া মাছ দেওয়া হয়, আর পাতলা ডাল। খাবারের মান তেমন ভালো নয়, ভাত থেকে পুরনো চাউলের গন্ধ আসে।
এ বিষয়ে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, প্রতিনিয়ত আমরা খাবারের মান দেখছি। একটা কমিটিও করে দেওয়া হয়েছে যাতে খাবারের মান ভালো হয়। ঠিকাদার প্রতিদিন ম্যেপে যতটুকু খাবার বিতরণ করার কথা তা আমাদের এখানে দিয়ে যায়।
এবিষয়ে শরীয়তপুর জেলার সিভিল সার্জন আব্দুল হাদী মোঃ শাহ পরান বলেন, গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিম্নমানের খাবার সরবরাহ করা হয়ে থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।