হৃদয়ে শরীয়তপুর ডেক্স:
শরীয়তপুরে ব্যাটারিচালিত অটো শ্রমিকদের বিরুদ্ধে জাজিরা ডিগ্রি কলেজের চার শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কলেজটির সামনে ঢাকা-শরীয়তপুর সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুরের বিভিন্ন উপজেলার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে জেলা সদরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। সংশ্লিষ্ট উপজেলার সীমানায় যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। বুধবার জাজিরা ডিগ্রি কলেজের ছয় শিক্ষার্থী একটি অটোরিকশা ভাড়া করে স্নাতক চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা দিতে শরীয়তপুর সদরের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কলেজে যাচ্ছিলেন। অটোরিকশাটি জেলা সদরের প্রেমতলা এলাকায় পৌঁছালে অটো শ্রমিকরা তাতে বাধা দেন। দুই পক্ষের বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে শ্রমিকরা অটোরিকশাচালকের কাগজপত্র রেখে দেন। পরীক্ষা শেষে একই অটোরিকশা নিয়ে ফেরার পথে কাগজপত্র ফেরত চাইলে অটোরিকশা শ্রমিকদের সুপারভাইজার হারুন ঢালীর নেতৃত্বে ১৫-২০ জন শ্রমিক শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেন। এতে জাজিরা ডিগ্রি কলেজের স্নাতক চূড়ান্ত বর্ষের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম, মেহেদী হাসান, ফরহাদ হোসেন ও সোহাগ মিয়া আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাঁদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এই ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার কলেজটির শিক্ষার্থীরা ঢাকা-শরীয়তপুর সড়ক অবরোধ করেন। একপর্যায়ে স্থানীয় প্রশাসন অভিযুক্তদের বিচারের প্রতিশ্রুতি দিলে দুপুর ১টার দিকে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।
আহত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শরীয়তপুর সদরে পরীক্ষার কেন্দ্র পড়ায় তাঁরা অটোরিকশায় করে ওই কেন্দ্রে যাচ্ছিলেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছালে অটো শ্রমিকরা তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। এরপর পরীক্ষা শেষে ফেরার পথে তাঁদের মারধর করে আহত করা হয়।
অটো শ্রমিকদের সুপারভাইজার হারুন ঢালী বলেন, ‘উপজেলার অটোরিকশা সরাসরি জেলা শহরে যেতে দেওয়া হয় না। তাই শিক্ষার্থীদের অটোটিকে বাধা দেওয়া হলেও পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর ফেরার পথে তাঁরা আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করলে স্থানীয় শ্রমিকরা তাঁদের থামিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের মারধর করা হয়নি।
জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনা দুঃখজনক। পুলিশকে অনুরোধ করা হয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্ন চলাচলের বিষয়টিও দেখা হচ্ছে।’