মঙ্গলবার ২৬শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ বিকাল ৩:২১

আমি জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হলে সবাইকে নিয়ে নড়িয়ার উন্নয়নে কাজ করবো, আলী আজগর চুন্নু

অক্টোবর ১, ২০২২            

হৃদয়ে শরীয়তপুর ডেস্কঃ

আসন্ন শরীয়তপুর জেলা পরিষদ (২০২২) নির্বাচনে নড়িয়া উপজেলা থেকে ৪নং ওয়ার্ড সদস্য পদে টিউবওয়েল মার্কা নিয়ে নির্বাচনে  অংশগ্রহন করেছেন নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর চুন্নু।

এবিষয়ে জানতে চাইলে শরীয়তপুর জেলা পরিষদের ওয়ার্ড নং ৪ এর সদস্য প্রার্থী (নড়িয়া উপজেলা) আলী আজগর চুন্নু জানান, আমি জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী নিজ এলাকা ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের জনগণের সেবা করার চেস্টা করি। আমি জনগণের সেবক হিসেবে থাকতে চাই। মানুষের কল্যাণে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কাজ করতে চাই। সেজন্যই জেলা পরিষদ নির্বাচনে নড়িয়া উপজেলা থেকে সদস্য পদে টিউবওয়েল মার্কা নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহন করেছি। আমি নড়িয়া উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন, একটি পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদের সকল সম্মানিত ভোটারদের ভোট, সবার সহযোগিতা ও দোয়া চাই। নড়িয়া উপজেলার সকল জনপ্রতিনিধিনের আকুণ্ঠ সমর্থন চাই। আমি নির্বাচিত হলে দল ও মতের উর্ধ্বে থেকে সবাইকে সাথে নিয়ে নড়িয়ার উন্নয়নে কাজ করবো ইনশাআল্লাহ।

আরো খোঁজ নিয়ে জান যায়, আলী আজগর চুন্নু সর্বস্তরের জনগণের জন্য নিবেদিত ভাবে কাজ করে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন উপজেলায়। অসহায় নিপীড়িত মানুষের পাশে থেকে তাদের সহায়তা করেছেন। এজন্য তিনি এখন জেলা পরিষদে সদস্য পদে নির্বাচন করে নড়িয়া উপজেলার জনগনের সেবক হতে চান।

জেলা পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড নড়িয়া উপজেলার সদস্য প্রার্থী আলী আজগর চুন্নুর ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়েই হাতে খড়ি। ১৯৭৯-৮০ -৮১ মেয়াদে তিনি নড়িয়া থানা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ছিলেন। যে কমিটিতে সভাপতি ছিলেন আতাউর রহমান স্বপন । ১৯৮২-৮৩ ও ৮৪ মেয়াদে তিনি সম্মেলনের মাধ্যমে পুনরায় নড়িয়া থানা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। ঐ কমিটির সভাপতি ছিলেন ডাঃ ওবায়দুর রহমান (হোমিও)। ১৯৮৬-৮৭ মেয়াদে তিনি নড়িয়া থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। ঐ কমিটিতে সাধারন সম্পাদক ছিলেন জুলহাস বেপারী। আলী আজগর চুন্নু ১৯৮৭-৮৮ মেয়াদে শরীয়তপুর জেলা যুবলীগের সহসভাপতি ছিলেন। ঐ কমিটির সভাপতি ছিলেন মরহুম এ্যাড.হাবিবুর রহমান। ১৯৮৬ সালের নির্বাচন কালীন আন্দোলন সংগ্রামে ভুমিকা পালন করতে গিয়ে আলী আজগর চুন্নু ৩টি মামলার আসামী হয়ে পুলিশের অপতৎপরতায় দেশ ত্যাগ করে জার্মানীতে চলে যান। সেখানে ১৯৮৯ সনে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহন করেন। ১৯৯০ সালে আলী আজগর চুন্নু  সেখান থেকে ইতালীতে চলে আসেন। সেখানে ও তিনি বসে থাকেননি, পুনরায় আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। সেখানে তিনি ১৯৯৪-৯৫ মেয়াদে ইতালী যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর ২০০১ সালের সাধারন নির্বাচনের পরে ২০০৩ সালে নড়িয়া থানা আওয়ামীলীগের ১নং যুগ্নসাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়। ঐ কমিটির সাধারন সম্পাদক দীর্ঘদিন রাজনৈতিক মামলায় কারাবরন করায় তিনি ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদকের দায়িত পালন করেন তিনি।ব র্তমানে ও তিনি আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত আছেন। প্রতিনিয়ত নড়িয়া উপজেলার প্রতিটি গ্রাম ঘুরে আওয়ামী লীগ সরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করে চলেছেন।

তফসিল অনুযায়ী শরীয়তপুর জেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ ১৭ অক্টোবর। ৪নং ওয়ার্ডের ১৪টি ইউনিয়ন, একটি পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদে নিয়ে মোট ভোটার সংখ্যা ১৯৮ জন।

 

© Alright Reserved 2021, Hridoye Shariatpur